রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেছেন, ‘২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তার মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে করে দিয়েছেন। আর বাংলাদেশের এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের একটি সফল বাস্তবায়ন হলো পদ্মা সেতু।’

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর দেড়টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ‘দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শত-সহস্র ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। আমেরিকা, বিশ্বব্যাংক এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংগঠন পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। বিশ^ব্যাংক দুর্নীতির দায় দেখিয়েছে এবং এর বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। এই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আমাদের দেশের কিছু কুশীলব বুদ্ধিজীবি যারা চরমভাবে আমেরিকা পন্থী তারা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। নেতৃত্বের সাহসিকতা এবং জনগণের আকাক্সক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পদ্মা সেতু তৈরি করতে সফলকাম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু কত বড় উন্নয়ন প্রকল্প, কত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। সাধারণ মানুষ যেমন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তেমন সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণেই পদ্মা সেতু হলো। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলার সাথে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হলো এই সেতুর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে মানুষ এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে যেমন লাভবান হবে তেমনি যারা ভোক্তা তারাও লাভবান হবে।’

অধ্যাপক কাশেম বলেন, ‘একটা জরাজীর্ণ জাতি তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি তৈরি করার জন্য যাকে আমরা সোনার বাংলাদেশ বলে থাকি। আমরা মেগা প্রজেক্টগুলোর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।’

বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং কোষাধ্যক্ষ অবাইদুর রহমান প্রামানিক উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং জাতীয় উন্নয়নে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ হোসেন, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।